সোমবার, ১৮ মে, ২০২০

আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী শিক্ষা বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী শিক্ষা বাস্তবায়ন নিয়ে আলোকপাত করার শুরুতেই আমরা কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার করে নিতে চাই। এখানে আমরা আন্তর্জাতিক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা জরুরী।

আন্তর্জাতিকতা:

আন্তর্জাতিকতা যার ইংরেজী Internationality সাধারণ অর্থে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের সকল জাতিতে জাতিতে সমতাবোধ ও সম ও গ্রহণযোগ্য মান নিশ্চিত করা। এমন এক Standard বা মানে উন্নতি করা যা সকল দেশ ও জাতির কাছে সমান গুরুত্বে বিবেচিত হয়।

আন্তজাতি মানের ইসলামী শিক্ষা বলতে কী বোঝায়:

আমাদের আলোচনার মূল বিষয় বস্তু হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা। এই বিষয়টিকে আমরা ভেঙে ভেঙে আলোচনা করতে চেষ্টা করবো। প্রথমেই আসি শিক্ষা বলতে কি বুঝায়?

শিক্ষার সংজ্ঞায়ন করতে গিয়ে ড. জন পার্ক বলেন, শিক্ষা হচ্ছে নিদর্শন ও অধ্যয়নের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন বা প্রদানের কৌশল তথা প্রক্রিয়া।

জন মিল্টন শিক্ষার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, আমি ঐ শিক্ষাকে পূর্ণাঙ্গ ও উদার শিক্ষা বলি, যা একজন মানুষকে তৈরি করে, ব্যক্তিগত বা সরকারি দায়িত্ব ন্যায় সংগতভাবে, দক্ষতাসহকারে এবং উদারভাবে প্রতিপালন করতে

অন্যদিকে দার্শনিক ড. আল্লামা ইকবাল বলেন, খুদী বা আত্মার উন্নয়ন ঘটানোর প্রক্রিয়াই হলো শিক্ষা

সুতরাং আমরা বলতে পারি- প্রয়োজনীয় গুণাবলি ও জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ব্যবস্থার নামই শিক্ষা।

শিক্ষার সংজ্ঞা আমাদের কাছে সুস্পষ্ট থাকলেও ইসলামী শিক্ষা কথাটি অস্পষ্টতার অন্ধকারে নিমজ্জিত। আমাদের দেশে প্রচলিত প্রাচীন পদ্ধতির মাদরাসা শিক্ষাই যদি ইসলামী শিক্ষা হয় তাহলে প্রতিভাবান ছাত্রদের এ শিক্ষার দিকে আকৃষ্ট হওয়ার কোন কারণ নেই এবং সমাজে উন্নতি ও মর্যাদা লাভের উদ্দেশ্যে কোন অভিভাবকই তাদের সন্তানদের এ শিক্ষা দিতে রাজি হবে না। আর ইংরেজী প্রবর্তিত আধুনিক শিক্ষাই যদি আদর্শ শিক্ষা বলে প্রচারিত হয় তাহলে এ শিক্ষার ফল দেখে কোন ইসলামপন্থী লোকই সন্তুষ্টচিত্তে এ ধরনের শিক্ষাকে সমর্থন করতে পারে না।

যারা ইসলামী মূল্যমান ও মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করে এবং ভবিষ্যৎ বংশধরদের দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াব দেখতে চায়, তারা প্রচলিত দুটি শিক্ষাব্যবস্থার কোনটিকেই আদর্শ শিক্ষা বলে স্বীকার করতে পারে না। তাই আমরা এই দুইয়ের সমন্বয়ে বর্তমান দুনিয়াতে শান্তি ও মর্যাদার সাথে জীবন যাপন করে আখিরাতের আদালতে মুসলিম হিসেবে আল্লাহর সম্মুখে হাজির হওয়ার যোগ্যতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে যে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হবে তাকেই আমরা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে পারি।

আরও সহজ করে বলতে গেলে, যে শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামকে একটি পরিপূর্ণ জীবনাদর্শ হিসেবে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে তাই ইসলামী শিক্ষা।

এককথায়, যে শিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) কে চিনতে পারা যায়, জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সব বিষয়ের দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় এবং যে শিক্ষায় মুসলিম দার্শনিক, মুসলিম বৈজ্ঞানিক, মুসিলম শাসক, মুসিলম বিচারক, মুসলিম অর্থনীতিবিদ, মুসলিম সেনাপতি, মুসলিম রাষ্ট্রদূত ইত্যাদি সৃষ্টি করবে তাকেই ইসলামী শিক্ষ নামে অভিহিত করা যায়। আমরা আরও সুনির্দিষ্ট করে বলার জন্য ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরতে চেষ্টা করবো। ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার পাঁচটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য হতে পারে:

১. শিক্ষাব্যবস্থাকে একই সঙ্গে দীন ও দুনিয়ার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হতে হবে।

২. পার্থিব জীবনের প্রয়োজনে যত প্রকার বিদ্যা শিক্ষা করতে হয় সে সবকেই ইসলামী দৃষ্টিকোণ হতে শিক্ষা দিতে হবে।

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গোটা পরিবেশকেই ইসলামী ছাঁচে ঢালাই করতে হবে।

৪. উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামের সাথে মানব রচিত বিধানের তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে ইসলামের যৌক্তিকতা ও শ্রেষ্ঠত্ব শিক্ষার্থীদের মনে বদ্ধমূল করতে হবে।

৫. যেহেতু কুরআন, হাদীস ও ফিকহ ইসলামী জ্ঞানের মূল উৎস, সেহেতু শিক্ষাব্যবস্থার উচ্চস্তরে উন্নতমানের মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও ফকীহ সৃষ্টির উপযোগী বিশেষ কোর্স থাকতে হবে।

যখন এই মানের ইসলামী শিক্ষা বিশ্বের অপরাপর মুসলিম দেশসমূহের গ্রহণযোগ্য ও স্বীকৃত কারিকুলামের অনুরূপ কিংবা সম-পর্যায়ের হবে তখন তাকে আমরা আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী শিক্ষা বলতে পারি। আন্তর্জাতিক মান বলতে এমন একটি স্টান্ডার্ড বা পর্যায়কে বুঝানো হচ্ছে, যা পৃথিবীর যেকোনো দেশে সমান গুরুত্ব ও মানে পরিগণিত হবে। এবং আমাদের দেশের ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে উঠবে যাতে করে বিশ্বের অপরাপর জাতিসমূহের সাথে চ্যালেঞ্জে এগিয়ে থাকা যাবে এবং একজন শিক্ষার্থী সে যে কারিকুলামে দেশে ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করবে, একই সিলেবাসে বিশ্বের যেকোনো দেশে গিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে এবং পরবর্তীতে কর্মজীবন নিশ্চিত করার যোগ্যতা অর্জন করবে।

 

আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার রুপরেখা কী হতে পারে?

আধুনিক দুনিয়ার উপযোগী ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা কোন্ ধরনের হবে তা আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার। যেহেতু বর্তমান শিক্ষাসংকট থেকে মুক্তিলাভের আকঙ্ক্ষায়ই ইসলামী শিক্ষার রূপ সম্পর্কে আলোচনা করছি, সেহেতু বর্তমান পটভূমিকে সামনে রেখেই আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে। তাই প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচনা করতে হবে। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে কীভাবে ঢেলে সাজানো যায় সেক্ষেত্রে আমাদের গভীর দৃষ্টি নিবন্ধ করতে হবে।

আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গেলে আমাদেরকে প্রথমই যা করতে হবে, তা হচ্ছে, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার মূল ত্রুটি কোথায়, তা সঠিকরূপে অবগত হওয়া। কেন আমরা আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো কি কি? তা খুঁজে বের করতে পারলেই আমরা করণীয় নির্ধারণ করতে পারবো। রূপরেখা নিয়ে গবেষণায় নিমগ্ন হতে পারবো।

আলোচিত ইসলামী শিক্ষার সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও সার্বিক দিকবিবেচনায় আমাদের পর্যবেক্ষণে আন্তর্তাজিক মান নিশ্চিতে

যে সকল চ্যালেঞ্জসমূহ সামনে এসেছে: -

১. সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধে বলীয়ান শিক্ষার অভাব।

২. শিক্ষা কারিকুলামের নিম্ন মান।

৩. অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও সনাতন শিক্ষা পদ্ধতি।

৪. পরীক্ষা পদ্ধতির গলদ।

৫. সৃজনশীল ও কর্মীমূখী শিক্ষার অভাব।

৬. শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অভাব।

৭. পর্যাপ্ত গবেষণার সীমাবদ্ধতা।

৮. শিক্ষকের উন্নয়ন ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থায় শীতলতা ও সীমাবদ্ধতা।

১০. শিক্ষক প্রণোদনা অভাব।

১১. শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনী প্রশিক্ষণের অভাব।

১১. মানসম্মত দক্ষতা ও প্রশিক্ষণমূলক শিক্ষার অভাব।

১২. ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ না থাকা।

১৩. প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির সাথে ইসলামী শিক্ষার বৈষম্য।

১৪. অবকাঠামোগত উন্নতির সীমাবদ্ধতা (মাল্টিমিডিয়াসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা) ।

১৫. ইসলামি শিক্ষায় পড়ে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবন নিয়ে সংশয়ে থাকা।

১৬. উচ্চশিক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকা। (বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে MoU এর ব্যবস্থা না থাকা, ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ সীমিত) ।

১৬. ইসলামের ইতিহাস পাঠে গলদ। (পাশ্চাত্যের প্রণীত ইতিহাস পাঠ করে ইসলামকে জানার মতো ভুলে নিমজ্জিত থাকা)

১৭. সহ-পাঠ্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির অভাব।

 

উপরোক্ত চ্যালেঞ্জসমূহকে সামনে রাখলে আমাদের করণীয় নির্ধারণ সহজ হবে মনে করি। আসুন এবার করণীয় ঠিক করি।


করণীয়সমূহ:

১. প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে ইসলামী শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জগুলো খুঁজে বের করা

২. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যাগুলোর সমাধান করা।

৩. মানউন্নয়নে চাই এখনই উপযুক্ত উদ্যোগএই শ্লোগানকে সামনে রেখে রূপরেখা ঠিক করা এবং বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা নেয়া।

৪. শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

৫. আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী শিক্ষা সিলেবাসগুলো পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা। (এই ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া, মিশর, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ OIC এর অধীনে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম সামনে রেখে পর্যালোচনা করা) ।

৬. শিক্ষাব্যবস্থাকে একই সঙ্গে দীন ও দুনিয়ার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম এই পর্যায়ে উন্নতি করতে শিক্ষা কারিকুলামকে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ঠেলে সাজানো।

৬. গবেষণায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য সভা-সেমিনার আয়োজন করা এবং রূপরেখা নির্ধারণে গবেষণা বৃদ্ধি করা।

৭. ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে ব্যবধান দূর করা এবং সৌহার্দ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত ।

৮. সকল পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসসহ প্রয়োজনী অবকাঠামো নিশ্চিত করা।

৯. গবেষণামূখী শিক্ষা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত বাজেট নিশ্চিত করা।

১০. পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা। পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অসুদোপায় রোধ করার জন্য ওপেন বুক এক্সামসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি চালু করা। মুখস্থ বিদ্যার ধারনা থেকে বের হয়ে আসা।

১১.  ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন।

১২. জেনারেল ও ইসলামী শিক্ষার বৈষম্য দূরীকরণ।

১৩. 'ফলভিত্তিক শিক্ষা' থেকে 'শিখনভিত্তিক শিক্ষায়' রুপান্তর করা।

১৪. শিক্ষা থেকে রাজনীতিকে পৃথকীকরণ।

১৫. শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের জন্য সামাজিক ক্যাম্পেইন করা।

১৬. ইসলামী শিক্ষার কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত করা। যাতে একজন শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তার ভবিষ্যত কর্মজীবন নিয়ে সংশয়ে না থাকে।

১৭. শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সহ-পাঠক্রম কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।

১৮. ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কমিয়ে আনা এনে উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা।

১৯. বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে MoU এর মাধ্যমে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা।

২০. বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করা এবং প্রয়োজনী তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

উপসংহার:

এ কথা মনে রাখতে হবে যে, এই প্রবন্ধে ইসলামী শিক্ষাপদ্ধতির আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতকরণে যা বলা হয়েছে তাই শেষ কথা নয়, এই বিষয়ে আরও অধিক গবেষণার দাবী রাখে। এবং এই কথাও মনে রাখা দরকার, সরকারী পরিকল্পনা ব্যতীত ইসলামী শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান ব্যাপকভাবে নিশ্চিত করা কিছুতেই সম্ভব হবে না। তাই সরকারের সমীপে আমাদের সুপারিশ থাকবে, সরকারকে এরূপ কোন কাঠামোর ভিত্তিতে একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে, যে ইসলামী শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হবে।

 


Share:

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচিত পোস্ট

এক অভাগিনীর গল্প শুনি

মা-বাবার প্রথম সন্তান হয়ে দুনিয়ায় আসা শ্যাম বর্ণের মেয়েটির শৈশব, কৈশোর কাটে নানা গঞ্জনায়। যৌবনে পা দিতে দিতেই দেশে যুদ্ধ বেধে যায়। সে এ...

সংগ্রহশালা

আমাকে লিখুন

নাম

ইমেল *

বার্তা *