সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২

নিজে নিজে সহজে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম

আমাদের সবার মধ্যে এমন একটা ধারণা তৈরী হয়েছে যে দালাল ছাড়া বা টাকা খাওয়ানো ছাড়া নতুন পাসপোর্ট করা যায় না। পাসপোর্ট করতে গেলে হয়রানির স্বীকার হতে হয়। আমার ও পাসপোর্ট করতে দেয়ার আগে একই ধারণা ছিলো। একথা সত্যি যে এক সময় পাসপোর্ট বানাতে গেলে দালাল ছাড়া অনেক হয়রানির স্বীকার হতে হতো, তবে বর্তমানে এটা অনেকাংশে কমে গেছে। এবং আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি বর্তমানে পাসপোর্ট বানানোর প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ। সরকার যেখানে পাসপোর্ট বানানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করে দিয়েছে সেখানে কেন শুধু শুধু বাড়তি টাকা খরচ করে দালাল দিয়ে পাসপোর্ট করবেন?

পাসপোর্ট করার ধাপসমুহ

সংক্ষেপে নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম বা ধাপ এগুলো। এই লিস্ট দেখলেই হয়ত বুঝে যাবেন কি করতে হবে। আর না বুঝলেও সমস্যা নাই নিচে আমি প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত লিখছি।

  1. ই-পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা
  2. পাসপোর্ট এপ্লিকেশন ফরম পূরণ করা
  3. পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া
  4. আবেদন ফরম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া ও বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করা
  5. পুলিশ ভেরিফিকেশন
  6. পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা
  7. পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

১. পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে/ই-পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা

ই-পাসপোর্ট করতে গেলে সবার আগে যে জিনিস সবচেয়ে গুরত্বপুর্ন সেটা হল নতুন ই-পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে সেটা জানা ও সেগুলো সংগ্রহ করা। বর্তমানে আবেদন প্রক্রিয়া আগের এমআরপি পাসপোর্ট এর চেয়ে কিছুটা সহজ। এখন আর আগের মত ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হয় না। এতে সত্যায়িত করার ঝামেলা কমে গেছে। চলুন দেখে নেই পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে।

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ (নিম্নোক্ত বয়স অনুযায়ী)
    • ১৮ বছরের নিচে হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ
    • ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ
    • ২০ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক

এখন পাসপোর্ট করতে এই একটা ডকুমেন্টই আসল ও আবশ্যক। তবে আপনার পেশা, বৈবাহিক অবস্থা ও পাসপোর্ট অফিস ভেদে বেশ কিছু অতিরিক্ত কাগজ লাগতে পারে। সেগুলো নিম্নরূপঃ

  • পেশাগত প্রমাণ (যেমন ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি, জব হোল্ডার হলে জব আইডী, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, কৃষক হলে জমির খতিয়ান এসব)
  • ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার, উকিল ও অন্যান্য পেশার লোকদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ
  • সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য NOC বা Government Order-সরকারি আদেশ (GO/জিও)
  • নাগরিক সনদপত্র
  • পাসপোর্টে স্বামী বা স্ত্রীর নাম নতুন যুক্ত করলে কাবিননামা (কম বয়সীদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
  • আগে কোন পাসপোর্ট থেকে থাকলে সেগুলোর মুল কপি ও ডাটা পেইজের ফটোকপি
  • ১৮ বছরের নিচের আবেদনকারীদের জন্য তাদের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  • ১৫ বছরের নিচের আবেদনকারীদের পিতা-মাতার পাসপোর্ট সাইজ ছবি অথবা বৈধ অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হবে
  • ৬ বছরের নিচের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও 3R সাইজের (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড) ম্যাট পেপারে ল্যাব প্রিন্ট রঙ্গিন ছবি দিতে হবে

এছাড়া ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোতে বর্তমান ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিল, ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র এসব লাগতে পারে।

এখন হয়ত আপনি কনফিউশনে পড়ে গেছেন। কিন্তু আস্তে আস্তে চিন্তা করে দেখুন আপনার পেশা ও যে অফিসে আবেদন করবেন সেটা অনুযায়ী আপনার ডকুমেন্টস রেডী করুন। কোন কনফিউশান থাকলে আপনার পাসপোর্ট আবেদন করেছেন এমন কাউকে জিজ্ঞেস করুন অথবা এখানে কমেন্ট করুন। এখন আমি আমার দুইটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।

আমি গত সেপ্টেম্বর মাসে ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসে আমার ভাবীর ও মায়ের ই-পাসপোর্ট আবেদন করেছি। সেখানে আমার ভাবীর পেশা দিয়েছিলাম স্টুডেন্ট। আর সে সদ্য HSC পাস হওয়ায় ও এখনো কোন কলেজে ভর্তি না হওয়া তার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ছিল না। অফিস থেকে আইডি চাইলে এটা বললাম ও তার HSC এর মার্কশিট ও টেস্টিমোনিয়াল দেখালে হয়ে যায়। এর সাথে তার লেগেছিল NID ও নাগরিক সনদ। আর কিছু না। আর আমার মায়ের আবেদনে শুধু তার NID ও নাগরিক সনদ লেগেছিল। আর কিছু লাগে নাই। পেশা ছিল Housewife.

তবে অফিসে না লাগলেও পুলিশ ভেরিফিকেশনে বাবা, মা, স্বামী স্ত্রীর NID, ইউটিলিটি বিল, নাগরিক সনদ, পেশার প্রমাণ, স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য জমির/ফ্ল্যাটের দলিল এসব লাগতে পারে।

২. পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করা

পাসপোর্ট ফরম পুরন করার জন্য প্রথমেই এই লিংকে গিয়ে আপনার বর্তমান ঠিকানার জেলা ও পুলিশ স্টেশন সিলেক্ট করে ইমেইল ও ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিস্টেশন করে নিন। এরপর ধাপে ধাপে খুব সতর্কতার সাথে আবেদন ফরম পুরন করুন। এখানে ফরম পুরন করার সময় এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।

  • আপনার নামে যদি শুধু একটা অংশ থাকে তবে শুধু Surname অংশ পুরন করুন। একাধিক অংশ থাকলে Given name ও Surname উভয় অংশে ভাগ করে দিন পুরো নাম। আরো বুঝতে এটা পড়ূন।  
  • কোন অবস্থাতেই কোন নামে ডট (.), কমা (,), হাইফেন (-) দিবেন না। আপনার সার্টিফিকেট, NID বা জন্ম নিবন্ধন যেখানেই থাকুক না কেন। এটা না দিলে কোন সমস্যা হবে না। দিলেই বরং অনাকাংখিত ঝামেলা হতে পারে।
  • ই-পাসপোর্ট আবেদনের সময় শুধুমাত্র আপনার NID বা জন্ম নিবন্ধনে যেভাবে নাম আছে হুবুহ সেভাবেই (ডট বাদে) আবেদন করতে হবে। তাই দরকার হলে আপনাকে আগে আপনার NID বা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিতে হবে।
  • ঠিকানা পুরনের সময় পূর্নাংগ ঠিকানা দিন। শহরের হোল্ডীং সহ ঠিকানা হলে City/Village/House ও Road/Block/Sector (optional) এই দুইটা ফিল্ডই ব্যবহার করুন। গ্রামে হলে শুধু City/Village/House এ গ্রামের নাম দিলেই হয়, Road/Block/Sector (optional) যেহেতু থাকে না তাই এটা অপশনাল।
  • স্থায়ী ঠিকানা ওইটাই দিবেন যেটাতে আপনার বা আপনার বাবার স্থায়ী ঠিকানা আছে। এর প্রমাণে পুলিশ ভেরিফিকেশনে জমি বা ফ্ল্যাটের দলিল লাগতে পারে।
  • আগের কোন পাসপোর্ট থাকলে ID Documents সেকশনে অবশ্যই সেটা সিলেক্ট করবেন ও সেই পাসপোর্ট এর তথ্য দিবেন।
  • এখন ID Documents সেকশনে সতর্কথার সাথে আপনার NID বা জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার দিবেন (যেটা দিয়ে আবেদন করবেন)।
  • Parental information এ বাবা মায়ের নাম দিবেন। তাদের National ID নাম্বার না দিলেও সমস্যা নাই।
  • Guardian information শুধু যাদের দরকার তাদের দিবেন। এতা শুধু তাদের জন্য যাদের লিগ্যাল গার্ডিয়ান আছে। বাকিরা এটাতে কিছুই পুরন করবেন না।
  • Spouse Information এ ম্যারিড দিলে কাবিননামা দিতে হবে ও স্পাউজ এর নাম ও অন্যান্য তথ্য দিতে হবে।
  • Emergency contact এ আপনি যেকোন নাম দিতে পারেন এতে কোন ভেরিফিকেশন বা সমস্যা হবে না। এটা সাধারণত দেয়া হয় ইমার্জেন্সিতে দেশে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে সেজন্য।
  • Passport options এ আপনি আবেদনের ধরন ও পৃষ্ঠা সংখ্যা সিলেক্ট করবেন ও সে অনুযায়ী পাস্পোর্ট ফি দেখাবে।
  • Delivery Options & Appointment এ আপনাকে দেখাবে, আপনি যে কেন্দ্রে আবেদন করবেন সেখানে কোন এপয়েনমেন্ট লাগে কিনা। সাধারণত ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে এপয়েনমেন্ট লাগে না। আর ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে এপয়েনমেন্ট লাগে। এখন নিয়মিত আবেদনে ২ মাসের মাঝেও ডেট পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে জরুরি সিলেক্ট করে দেখুন আগে পান কিনা। তাও না পেলে ও আপনার দ্রুত লাগলে জরুরি বা Express আবেদন সিলেক্ট করে আবেদন সাবিমিট করুন আর ব্যাংকে অতিব জরুরি/Super Express ফি প্রদান করুন। এতে আপনি কোন এপয়েনমেন্ট ছাড়াই যেকোনদিন আবেদন জমা দিতে পারবেন।
  • শেষ ধাপে আপনাকে একটা সামারি দেখাবে যে আপনি আবেদন চেক করে দেখুন কোন ভুল আছে কিনা। সব কয়েকবার চেক করে দেখুন ঠিক আছে কিনা। সব ঠিক থাকলে সাবমিট করে দিন। একবার সাবমিট করলে আপনি আর এডিট করতে পারবেন না।
  • এখন আপনি সামারি প্রিন্ট করতে পারবেন ও ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন।
  • সবশেষে এপ্লিকেশন ফরমের শেষ পাতায় আপনার স্বাক্ষর ও তারিখ দিন

২.১ পাসপোর্ট ফরম পুরনের কিছু সতর্কতা ও তথ্য

  • আবেদন খুব সতর্কতার সাথে পুরন করতে হবে। কারণ একটু ভুল হলেই বলবে আবেদন ক্যানসেল করতে। আর আপনি নিজে নিজে সাইট থেকে আবেদন ক্যানসেল করতে পারবেন না। এর জন্য অফিসে আবেদন করলে কিছুদিন পর আবেদন ডিলিট হবে। তা হয়রানি এড়াতে সতর্কতার সাথে ফরম পুরন করুন।
  • একটা NID বা BRC দিয়ে একবার আবেদন সাবমিট করে ফেললে সেটা ডিলিট না হওয়া পর্যন্ত ওই NID বা BRC দিয়ে আর আবেদন করতে পারবেন না।
  • কোন তথ্য সংশোধন করতে হলে এফিডেবিট ও সংশোধন আবেদন করতে হবে। তারপরেও কয়েকমার Bcakened verification এ আটকে থাকবে। আপনাকে বার বার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে তাগাদা দিতে হবে।

৩. পাসপোর্ট করার খরচ ও আবেদনের ধরন

সবার প্রথম প্রশ্ন পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? তাই চলুন জেনে নেই ই-পাসপোর্ট এর খরচ কত! আবেদনের ধরন ও পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। নিচের টেবিলে দেখে নিন পাসপোর্ট করার খরচ।

নতুন স্বীদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৯-০৫-২০২২ হতে ৩১-০৭-২০২২ পর্যন্ত ৪৮ পাতার কোন পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ করা হবে না। তাই কেউ এই সময়ের মাঝে আর ৪৮ পাতার জন্য আবেদন করবেন না। শুধুমাত্র ৬৪ পাতার আবেদন গ্রহণ করা হবে।

পৃষ্ঠা সংখ্যামেয়াদনিয়মিত
(২১দিন)
জরুরি
(৭ দিন)
অতিব জরুরি
(২ দিন)
৪৮ পৃষ্ঠা৫ বছর৪০২৫৬৩২৫৮৬২৫
৪৮ পৃষ্ঠা১০ বছর৫৭৫০৮০৫০১০৩৫০
৬৪ পৃষ্ঠা৫ বছর৬৩২৫৮৬২৫১২০৭৫
৬৪ পৃষ্ঠা১০ বছর৮০৫০১০৩৫০১৩৮০০
  • ১৮ বছরের কম বয়সী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট পাবেন।
  • এখানে উল্লিখিত দিনে পাসপোর্ট পাওয়া নির্ভর করে সঠিক সময়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়া ও সব তথ্য ঠিক থাকার উপর। কোন গরমিল হলে পাসপোর্ট পেতে দেরি হতে পারে।
  • নতুন পাসপোর্ট আবেদনকারী অতি জরুই আবেদন করতে পারবেন না। অতি জরুরি আবেদন আপাতত শুধু যাদের আগের MRP পাসপোর্ট আছে তারা রিনিউ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে শর্ত হল স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না। আর আবেদন দেশের যেকোন পাসপোর্ট অফিস থেকে করা গেলেও, পাসপোর্ট শুধুমাত্র ঢাকার আগারগাও অফিস থেকেই ডেলিভারি নেয়া যাবে।

৩.১ ই-পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

ফরম পুরন করার পর আপনি এখন দুই উপায়ে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারেন। দেখে নিন ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম।

৩.১.১ ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া

এখন আপনার আশেপাশে প্রায় অব ব্যাংকেই এ চলানের মাধ্যমে পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে পারবেন। তবে সব ব্যাংক নাও নিতে পারে। তাই আগে জেনে নিন আপনার সুবিধাজনক কোন ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা নেয়। তারপর নিচের ডকুমেন্টস নিয়ে ফি জমা দিন।

  • NID বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যেটা দিয়ে পাসপোর্ট এপ্লিকেশন করেছেন)
  • এপ্লিকেশন সামারি পেইজ
  • আর ব্যাংকে একটা ফর্ম দিবে পুরন করতে

৩.১.২ এ-চালানের মাধ্যমে নিজে জমা দেয়া

এছাড়া আপনি চাইলে রকেট, বিকাশ, ডিবিবিএল নেক্সাস বা অন্যান্য ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টার্কার্ড দিয়ে অনলাইনে ও এ-চালানের এপে পাসপোর্ট ফি দিতে পারবেন।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দিতে https://ibas.finance.gov.bd/acs/general/sales এই লিংক গিয়ে পাসপোর্ট ফি সিলেক্ট করে আবেদনের প্রকৃতি ও বিতরণের প্রকৃতি সিলেক্ট করে পছন্দমত ব্যাংকের গেটওয়ে সিলেক্ট করে ফি দিন। এই সাইটে ফি দিতে কোন রেজিস্ট্রেশন এর দরকার নাই।

একই ভাবে AChallan এর মোবাইল এপের মাধ্যমেও ফি দিতে পারবেন। এপ ডাউনলোড করুন এন্ড্রয়েড ও আইওএস। এপে রেজিস্ট্রেশন করে পাসপোর্ট ফি সিলেক্ট করে NID নাম্বার দিলে অটো নাম ও ঠিকানা সার্ভার থেকে চলে আসবে ও শেষের দিকে পেমেন্ট অপশন পাবেন।

দুইভাবেই পেমেন্ট সম্পন্ন হলে চালান ডাউনলোড করতে পারবেন। চালান ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন। চালান চাইলে ভেরিফাই করতে পারেন এই সাইট থেকে।

সতর্কতাঃ

  • পাসপোর্ট আবেদনকারীর নাম ও চালানের নাম একই দিতে হবে। না হলে আবেদন নিবে না।
  • চালানে ডট (.) থাকা বা না থাকায় কোন সমস্যা হবে না।
  • এ চালানে পেমেন্ট ফেইল হতে পারে। মানে টাকা কাটবে কিন্তু চালান আসবে না এমন হতে পারে।

৪. আবেদন পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া ও বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করা

উপরে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে/প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা সেকশনে আমরা কি কি কাগজ লাগবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু এখানে আমি সংক্ষেপে আবার কাগপত্রের লিস্ট দিচ্ছি যাতে আপনি অফিসে যাওয়ার আগে কাগজগুলো চেক করে নিতে পারেন।

  • চালান কপি (পেমেন্ট স্লিপ)
  • এপ্লিকেশন সামারি এপয়েনমেন্টসহ (যদি লাগে)
  • এপ্লিকেশন ফরম (৩ পৃষ্ঠা)
  • NID বা জন্ম নিবন্ধরের ফটোকপি (আসলটাও দেখাতে হবে)
  • পেশাগত প্রমাণ (স্টুডেন্ট আইডি, জব আইডী, ট্রেড লাইসেন্স, NOC, GO ইত্যাদি)
  • কাবিননামা (যদি লাগে)
  • নাগরিক সনদপত্র
  • ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি
  • পুর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে-আসলটাও দেখাতে হবে)

এছাড়া বাচাদের কি কি লাগবে তা আর এখানে আবার দিলাম না, উপরে দেয়াই আছে সেটা দেখে নিবেন।

এখন ফরম পুরন করে, পাসপোর্ট পেমেন্ট করে নিমোক্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনার এপয়েনমেন্ট ডেটে (আপনার অফিসে এপয়েনমেন্ট না লাগলে যেকোনদিন) পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। সিরিয়াল ধরে কাগজ জমা দিন কাউন্টারে। সব কিছু ঠিক থাকলে তারা আপনার আবেদন জমা নিবে এবং কোন রুমে যেতে হবে সেটা বলে দিবে। রুম নাম্বার অনুযারি পাঠানো রুমে গিয়ে আপনার আঙ্গুলের ছাপ দিন, ছবি তুলুন, চোখের স্ক্যান এবং সিগনেচার দিয়ে একটা রশীদ দিবে সেটা নিয়ে ভালো করে দেখুন কোন ইনফরমেশনে ভূল আছে কি না। এই রশীদে যে ইনফরমেশন দেখাবে তা আপনার পাসপোর্টে হুবুহু সেইম ই প্রিন্ট হবে। তাই কিছু ভূল দেখতে পেলে সাথে সাথে দ্বায়ীত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান। নাহলে পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে গেলে আর সংশোধন করতে পারবেন না।

কোন ঝামেলা হলে বা হয়রানির স্বিকার হলে ওই পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের সাথে কথা বলুন। তারা অনেক হেল্পফুল। আপনি আপনার কেন্দ্রের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে এই লিস্টে থাকা ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

৫. পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন

সাধারণত আবেদন পত্র জমা দেয়ারনত৩-৭ দিনের মধ্যেই আপনাকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হবে। পুলিশ আপনার বাড়িতে আসতে পারে অথবা আপনাকে তাদের অফিসেও যেতে বলতে পারে অথবা অন্য কোথাও দেখা করতে বলতে পারে। পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কি কি লাগে তা আপনার অবস্থান, বয়স, পেশা বা তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর নির্ভর করে আসলে। আপনাকে নিচের ডকুমেন্টগুলোর মাঝে কিছু দিতে হতে পারে।

  • আপনার NID/BRC
  • নাগরিক সনদ
  • ইউটিলিটি বিল
  • পেশাগত প্রমাণ
  • বাবা/মায়ের NID
  • জমি বা ফ্ল্যাটের দলিল

বাবা/মায়ের আইডি সবার লাগে না। ঢাকায় হলে জমি বা ফ্লাটের দলিল চায় বেশি। জেলা পর্যায়ে লাগে না সাধারণত। যাইহোক চিন্তার কিছু নেই, পুলিশ আপনাকে ফোন দিয়ে জানাবে কি কি লাগবে, আপনি সেগুলো নিয়ে যাবেন।

আপনার পাসপোর্ট আবেদন ফর্মে যদি স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তাহলে দুই যায়গাতেই ভেরিফিকেশন হবে। আর একই ঠিকানা হলে এক জায়গাতেই হবে।

এই পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনেই আসলে অনেকের অভিযোগ থাকে ঘুষ চাওয়ার ব্যাপারে। আপনি যদি এমন পরিস্থিতির স্বিকার হোন তাহলে টাকা দিতে রাজি হবেন না। আপনার সকল ডকুমেন্ট যদি ভ্যালিড থাকে তাহলে অফিসার আপনার কিছুই করতে পারবে না। তাকে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে এমনিই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আপনার সব ভ্যালিড থাকলে নেগিটিভ রিপোর্ট দিতে পারবে না। শুধু আপনার পাসপোর্ট এর রিপোর্ট জমা দিতে একটু দেরী করতে পারবে এই যা। আর না হলে আপনার ৫০০-১৫০০ টাকা দিতে হবে। তবে আদর্শ রেট হচ্ছে ১০০০ টাকা 😀

আসলে বেশীর ভাগ মানুষ টাকা চাওয়ার আগেই দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে। যার দরুন কিছু অসাধু অফিসার আরো সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই অলিখিত এবং অনৈতিক নিয়ম পরিবর্তন করা যায়।

পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে ২-৩ দিনের মাঝেই আপনার পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেঞ্জ হবার কথা। না হলে আপনার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন। যাদের ২ সপ্তাহ হয়ে গেছে ভেরিফিকেশন সন্তোষজনক মেসেজ আসছে কিন্তু এখনো স্ট্যাটাস পেন্ডিং দেখাচ্ছে তারা যত দ্রুত সম্ভব আপনার ভেরিফিকেশন অফিসার অথবা DSB তে যোগাযোগ করুন (অথবা যারা মেসেজ পেয়েও পেন্ডিং আছে)। না হলে এভাবেই থাকবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে আপনার সব কাজ শেষ।

৬. পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার নিয়ম

এবার পাসপোর্ট পাওয়ার ম্যাসেজের জন্য অপেক্ষা করুন। তবে আবেদনের পর থেকেই আমাদের মনে শুধু ঘুরতে থাকে একটা প্রশ্ন যে ‘পাসপোর্ট কবে পাব?’ আপনার পাসপোর্ট এর পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা চেক করার জন্য অনলাইনে মাঝে মাঝে ঢুকে আপনার পাসপোর্ট এখন কোন অবস্থায় আছে দেখুন। এই লিঙ্কে গিয়ে https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status আপনার Application ID ( পাসপোর্ট এর ছবি তোলার পরে আপনাকে যে রশীদ দেবে সেখানে লেখা থাকবে ) অথবা Online Registration ID (ফরমে বা সামারি পেইজে আছে) এবং জন্ম তারিখ দিইয়ে ক্যাপচা ভেরিভাই করুন। তাহলেই আপনার পাসপোর্ট এর পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন। আর আপনি যদি নিজে একাউন্ট খুলে এপ্লাই করেন তাহলে একাউন্টে লগিন করেও স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। এছাড়া এসএমএস করেও স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। EPP স্পেস Application ID লিখে মসেজ করুন ২৬৯৬৯ নাম্বারে। ফিরতি মেসেজে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থার আপডেট পাবেন।

এখন মেসেজ বা অনলাইন সাইটের স্ট্যাটাস গুলো দ্বারা কি বোঝায়? সে জানতে এই ছবিটি দেখুন। এখানে খুব সুন্দর করে পাসপোর্ট এর প্রতিটি স্ট্যাটাসের অর্থ ও কতদিন একেক ধাপে আটকে থাকে তার একটা ধারণা দেয়া হয়েছে।

এই দুইটা স্ট্যাটাস গাইড শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে E-Passport Bangladesh (Volunteer Group) গ্রুপ থেকে। ফেসবুকে যতগুলো পাসপোর্ট সংক্রান্ত গ্রুপ আছে তার মাঝে এইটা বেস্ট। এডমিন ও মেম্বাররা এক অন্যকে হেল্প করে শুধু। দালাল নাই, ফলে ইনবক্সে আসুন একথা শুনতে হবে না। আমিও প্রতিদিন অনেক প্রশ্নের উত্তর দেই এই গ্রুপে আর শিখি অন্যদের থেকে।

৭. পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

সব কিছু ঠিক ঠাক মত হয়ে গেলে আপনি আপনার আবেদনের ধরনের উপর ভিত্তি করে কিছুদিন পর মোবাইলে ও ইমেইলে মেসেজ পাবেন যে আপনার পাসপোর্ট কালেকশনের জন্য রেডি। মেসেজ পেলে আপনার ডেলিভারি স্লিপ ও আইডি কার্ড নিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন। রি-ইস্যু হলে মানে আগের পাসপোর্ট থাকলে সেগুলোও সাথে করে নিয়ে যেতে হবে অবশ্যই।

যার পাসপোর্ট তাকেই আনতে হবে। তবে কোন কারনে না যেতে পারলে অথোরাইজেশন লেটার দিয়ে কাউকে দিয়ে আনানোর চেষ্টা করতে পারেন। আমি চেষ্টা করেও ফরিদপুর থেকে অন্যজনের পাসপোর্ট আনতে পারি নাই। তাই চেষ্টা করুন নিজে আনতে। একান্তই না পারলে ও পরিবারের কেউ হলে অথোরাইজেশন লেটার, আপনার ও আবেদনকারির আইডী ও ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।

ধন্যবাদ

আশা করি পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি। তারপরেও আরো কোন প্রশ্ন থাকলে করুন। আমি উত্তর দিব। প্রশ্নের জন্য সাইটের মেইন কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করলে আমার কাছে ইমেইলে নোটিফিকেশনে আসবে তাই দ্রুত উত্তর দিতে পারব। ফেসবুকেও কমেন্ট করতে পারেন তবে উত্তর একটু দেরি হতে পারে।

আর আপনার কাছে যদি আপডেট তথ্য থাকে অথবা কোন তথ্য ভুল মনে হয় তাহলে দয়া করে কমেন্ট করে জানান, আমি আপডেট করব। এতে সবারই উপকার হবে। আমি উপযুক্ত ক্রেডিট দেয়ার চেষ্টা করব।

অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে ধৈর্য নিয়ে এত বড় লেখা পড়ার জন্য। আমার লেখায় অনেক বানান ভূল হতে পারে আশা করি সেগুলোকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর

আমার বাড়ি অমুক জেলায় আর আমি থাকি অমুক জেলায়। এখন আমি কোথায় পাসপোর্ট এপ্লিকেশন করব?

আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানার অফিসে আবেদন করতে পারেন। শুধু মনে রাখবেন আপনার পাসপোর্ট আবেদন ফর্মে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তাহলে দুই জায়গাতেই পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। আর একই ঠিকানা হলে এক জায়গাতেই হবে। এছাড়া আর কোন সমস্যা নেই।

ই-পাসপোর্ট কোন কোন জেলায় চালু হয়েছে?

আমার জানামতে এখন দেশের সব জেলাতেই ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। তারপরেও আপনি এই লিংকে গিয়ে আপনার জেলা ও পুলিশ স্টেশন দিয়ে কনফার্ম হয়ে নিতে পারেন।

পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কত টাকা লাগে?

পাসপোর্ট এর জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে আইনত কোন টাকা লাগে না। তারপরেও বেশিরভাগ পুলিশ টাকা চায় বিভিন্ন অযুহাতে। সাধারনত পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে ৫০০-১০০০ টাকা নেয়।

ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়?

আবেদনের ধরনের উপর নির্ভর করে নতুন পাসপোর্ট আবেদনে ৭-২১ দিনে ই-পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এছাড়া রি-ইস্যু হলে ২-২১ দিনে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। তবে সব তথ্য ঠিক থাকা, সঠিক সময়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে হবে, অন্যথায় পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হয়।

বিশ্বের কোন দেশ প্রথম ই পাসপোর্ট চালু করে?

মালয়েশিয়া ১৯৯৮ সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করে।

বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট কবে চালু হয়?

২২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু হয়।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২২

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২?

নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা জানতে এই পোস্টের এই সেকশনটি পড়ুন।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করা যাবে?

হ্যা, যাবে। তবে শুধু ২০ বছর বয়স পর্যন্তই করা যাবে। অনেক অফিসে ১৮ বছরের বেশি হলেও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আবেদন নেয় না।

পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম কি?

পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম জানতে এই পোস্টের এই অংশ পড়ুন।

জরুরি পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে?

নতুন পাসপোর্ট হলে আপনি যদি অতি জরুরি (Super Express) তে আবেদন করেন ও সাথে যদি আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দেন তাহলে ২ কার্যদিবসে পেতে পারেন। অন্যথায় ৭ দিনের মত লাগতে পারে।

ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২২?

আবেদনের ধরন ও পৃষ্ঠা সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ই পাসপোর্ট ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সম্পুর্ন ফি এর চার্ট দেখুন এখানে

পাসপোর্ট পেতে দেরি হলে করনীয় কি?

যদি ডেলিভারি ডলিভারি ডেট পার হয়ে যায় তাহলে আপনাকে কোন স্টেপ নিতে হবে। সবার আগে জানতে হবে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান কোন অবস্থায় আছে। বর্তমান অবস্থা জানতে এখানে উল্লিখিত নিয়মে চেক করুন প্রথমে। যদি Pending SB Police Clearance দেখায় তাহলে আপনার নিকটবর্তী পুলিশের DSB শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। আর অন্য যেকোন ধাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসের AD বা পরিচালকের সাথে দেখা করতে হবে।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

আবেদনের ধরন ও পৃষ্ঠা সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ই পাসপোর্ট ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা দিয়ে ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করা যায়। সম্পুর্ন ফি এর চার্ট দেখুন এখানে

পাসপোর্ট করতে বয়স কত লাগে?

পাসপোর্ট করতে সর্বনিম্ন বয়সের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এক দিনের বাচ্চারও পাসপোর্ট করা যাবে।


নোটিশঃ সম্পুর্ন লেখা কপি করা হয়েছে সাইফুল ইসলাম সোহেল ভাইয়ের নির্বোধ ব্লগ (https://nirbodh.com/) থেকে হুবুহু কপি করা হয়েছে। নিম্নের লিংকে গিয়ে সরাসরি সেই লেখাটিও পড়ে আসতে পারেন। (https://nirbodh.com/passport-application/)। কেবলমাত্র জনস্বার্থে কপি করে এখানে দেয়া হয়েছে, অন্যকোনো উদ্দেশ্যে নহে। এবং আমার এটি একটি ফ্রি সাইট। 

Share:

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচিত পোস্ট

এক অভাগিনীর গল্প শুনি

মা-বাবার প্রথম সন্তান হয়ে দুনিয়ায় আসা শ্যাম বর্ণের মেয়েটির শৈশব, কৈশোর কাটে নানা গঞ্জনায়। যৌবনে পা দিতে দিতেই দেশে যুদ্ধ বেধে যায়। সে এ...

সংগ্রহশালা

আমাকে লিখুন

নাম

ইমেল *

বার্তা *